ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের একটি জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ দুই কিলোমিটার রাস্তাটি এলকাবাসীর জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাড়িয়েছে। এতটুকু রাস্তার অধিকাংশ যেমনি বেহাল তদুপরি রয়েছে ৭/৮ টি ঝুঁকিপূর্ণসহ একডজন বাঁশের সাঁকো। এ বিপদজনক রাস্তাটি চার গ্রামের মানুষের একমাত্র পথ। রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। দীর্ঘদিনের অবহেলিত এ রাস্তাটিতে দুই যুগেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। ডিজিটলি যুগেও ঝুঁকি নিয়ে বাঁেশ সাঁকো পার হয়ে হাজার মানুষ। এ চরম দুর্ভোগ দেখার নেই কেউ।
এলকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ রাস্তাটি সোনারবাংলা থেকে নাইয়াবাড়ি ও তালুকদার বাড়ির সামনে দিয়ে কৈখালি পর্যন্ত যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার বেহালদশার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। প্রায় ত্রিশ বছরেও রাস্তার উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চরম ভোগান্তি ও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়াত যাতায়াত করেন। কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীদের এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে খুব কষ্টকর। বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়। মাত্র দুই কিলো রাস্তাটির প্রায় অংশ ভেঙে গেছে, রয়েছে প্রায় ছোট বড় এক ডজন ঝুঁকিপুর্ণ সাঁকো।
নামে মাত্র রাস্তা বাস্তব চিত্র আলাদা, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর ওই রাস্তাটি দিয়ে এলাকার শত শত ছেলে মেয়েরা স্কুল/কলেজে যেতে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। সাঁকো ভেঙে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। কোনো মানুষ হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে তাৎক্ষণিক হসপিটালে নিয়ে যাওয়া বা ডাক্তার নিয়ে আসার মত কোনো অবস্থা নেই। বর্ষার মৌসুমে এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা হচ্ছে নৌকা। এ ভোগান্তি থেকে প্রতিকার চেয়ে এলকাবাসী একাধিকবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য আবেদন করা সত্ত্বেও বিগত দুই যুগেও রাস্তাটির উন্নয়ন তো দূরের কথা একটুকরো মাটির কাজও হয়নি। জনপ্রতিনিধির কাছে আবেদন করেও কোনো সুফল হয়নি। আজও চরম ভোগান্তি নিয়ে এলকাবাসীর বসবাস। এ পরিস্থিতিতে কাঠালিয়া উপজেলার সকল প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকাবাসীর আবেদন দ্রুত এ ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটির উন্নয়ন করে এ বেহালদশা থেকে এলাকাবাসী রক্ষা করার। এ বিষয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো: জহর আলী বলেন, আমরা বিষয়টি দেখবো এবং সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলবো।’
Leave a Reply